বীথি ও জোড়া শিশুর অস্ত্রোপচার চলছে
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
বিরল রোগে আক্রান্ত বীথি আক্তার ও ৭ মার্চ জন্ম নেওয়া অপূর্ণাঙ্গ যমজ শিশুর অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এ দুটি অপারেশন শুরু হয়।
হাসপাতালের কেবিন ব্লকের নবম তলায় (লিফটের ৮) আধুনিক অপারেশন থিয়েটারে জোড়া শিশুর অস্ত্রোপচারটি শুরু হয়। অপারেশনের জন্য ১৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এতে নেতৃত্বে থাকছেন পেডিয়াট্রিক বা শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন।
অপারেশন থিয়েটারের বাইরে স্থাপন করা বড় পর্দার মাধ্যমে এই অস্ত্রোপচার সরাসরি দেখানো হচ্ছে। যে কেউ চাইলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অস্ত্রোপচারের দৃশ্য দেখতে পাবেন।
অধ্যাপক রুহুল আমিন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশের আগে জানান, অপারেশন থিয়েটারের বাইরে বড় পর্দা থাকবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো অপারেশনের দৃশ্য পর্দায় দেখানো হবে। অস্ত্রোপচারে দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
এদিকে, হাসপাতালের দশম তলায় শুরু হয়েছে বীথি আক্তারের অপারেশন। তার স্তনে অপারেশন হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদশে এটাই হবে স্তনের সবচেয়ে বড় অস্ত্রোপচার।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্ডোক্রিনোলজি (ডায়াবেটিস ও হরমোন) বিভাগে ভর্তি করা হয় বীথিকে। কিন্তু বীথির হরমোনজনিত কোনো সমস্যা পরীক্ষায় ধরা পড়েনি।
গত ২৩ মে বীথির মুখের লোম অপসারণের জন্য মুখমণ্ডলে প্রথমবারের মতো লেজার থেরাপি দেওয়া হয়েছে। এরপর ২৫ মে সি ব্লকের ষষ্ঠ তলার সার্জারি বিভাগের ৬১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৫১ নং বেডে তাকে নেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার জয়ভোগ গ্রামের দিনমজুর আবদুর রাজ্জাকের তিন সন্তানের মধ্যে বড় বীথি। জয়ভোগ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সে।
আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাগেরহাটের মো. জাকারিয়ার স্ত্রী হীরামনি গত ৭ মার্চ জোড়া লাগানো যমজ সন্তান প্রসব করেন। এদের একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু। তার সঙ্গে জোড়া লাগানো আছে একটি অপূর্ণাঙ্গ শিশু। তার মাথা, বুক ও দুই হাত নেই। অপূর্ণাঙ্গ শিশুটি তার অর্ধেক শরীর নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশুর সঙ্গে যুক্ত।
অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ ধরনের শিশুকে ‘কনজেনিটাল প্যারাসাইটিক টুইন’ বা জোড়া অপূর্ণাঙ্গ যমজ বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই শিশুর চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে বলে জানিয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া













